আসলেও কি আমাদের সমাজ থাকে ধর্ষণ দূর করা সম্ভব?
গত কয়েকদিন আগে আমি বিছানায় ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ফেসবুকে টাইম পাস করছিলাম, আর ইন্টারেস্টিং কিছু গল্প পড়ছিলাম।তার মধ্যে হঠাৎ একটি নোটিফিকেশন চলে আসল,আর আমি খুব অভাক হয়ে দেখলাম সেটা একটি ধর্ষণ নিয়ে ভিডিও এর নোটিফিকেশন। আমি সম্পুর্ন ভিডিও দেখলাম। এই ঘটনাটি আমি নিচে তুলে ধরার চেষ্টা করছি, আর এর কারন ও প্রতিকার নিয়ে আমার ছোটখাটো জ্ঞানে যা মনে হয় তা তুলে ধরব।
আসসালামু আলাইকুম, আমি গোলজার, আজ আপনাদের সাথে অতি নিন্দনীয় একটি জিনিস শেয়ার করব। পোস্টের বিষয় কি, তা হয়তো আপনারা টাইটেল দেখেই বুজতে পারছেন।
এখন আসল কথায় আসি। আমি এই পোস্টের প্রথম প্যারায় একটি ঘটনার কথা বলছিলাম। আর এটি একটি বাস্তব ঘটনা। আমাদের বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের মধ্যে শিক্ষার দিক দিয়ে এম.সি কলেজ(মুরারিচাদ কলেজ) সব থেকে ভালো।আবার এটি একটি দর্শনীয় স্থানও বটে। এখানে প্রত্যেক দিন অনেক মানুষ ভ্রমণ করতে আসে।গত সেপ্টেম্বর মাসে বরাবরের মতোই এক বিবাহিত দম্পত্তি আসছিলো বেড়াতে।তখন সেই দম্পত্তির মধ্যে স্বামীকে বেধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করলো কয়েকজন ছাত্রনেতা । এই ঘটনাটি শুনে বর্তমানে মহিলারা অনেক ভয়ের মধ্যে আছেন। আপনারা হয়তো এই ঘটনার কথা জানেন। আপনারা লক্ষ করেছেন কি না, সেটা আমি জানি না। আমি এই পোস্টের জন্য যে ব্যানার ব্যবহার করেছি, তার মধ্যের পিকচারটি এখন অনেক মানুষ তাদের ফেসবুকের প্রোফাইলে ব্যবহার করছে। বর্তমানে আমাদের দেশে যেভাবে ধর্ষনের হার বাড়ছে, সেভাবে যদি বাড়তে থাকে তাহলে আমার মনে হয় ধর্ষণের দিক দিয়ে সারা বিশ্বের টপ দশটা দেশের মধ্যে বাংলাদেশ খুব শীঘ্রই প্রবেষ করবে।সারা দেশের মধ্যে ১০ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৬০ বছরের বৃদ্ধা পর্যন্ত ধর্ষিত হচ্ছে।এমনকি গত কয়েকমাস আগে শুনছিলাম ছয়মাস বয়সের শিশুও নাকি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এখন আপনি একটু চিন্তা করেন, মানুষ কতটুকু নিছে নামলে এরকম ঘৃণ্য কাজ করতে পারে।এরকম ঘৃন্য কাজ এখন বাংলাদেশের নৃত্য কাজে পরিণত হয়েছে। প্রত্যেকদিনই ধর্ষিত হচ্ছে অনেক মহিলা।আর এরকম কাজ করছে কিছু মানুষ রূপের নরপশুরা।এই সমস্যা শুধু আমাদের বাংলাদেশের একার নয়।এটা সারা বিশ্বের প্রায় সব দেশের সমস্যা। খুব শীঘ্রই এর প্রতিকার প্রয়োজন। তা না হলে একদিন ধর্ষন আমাদের দেশে প্রত্যেক সেকেন্ডে সেকেন্ডে হবে।
ধর্ষণ কি?
কোন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাকে তার অমতে যৌন নির্যাতন করাকে ধর্ষণ বলে। আবার কোন অপ্রাপ্তবয়স্ক মহিলাকে যদি তার সম্মতিতেও যৌন নির্যাতন করা হয় তাহলে সেটাও ধর্ষণ।
বিশ্বব্যাপী ধর্ষণের হার কেমন?
আমেরিকাতে বর্তমানে প্রত্যেক ৫ জন মহিলার মধ্যে ৩ জন ধর্ষিতা। এমনকি সেখানে পুরুষও ধর্ষিত হয়। প্রত্যেক ৩৬ জন পুরুষের মধ্যে এক জন ধর্ষনের শিকার।আমেরিকাতে ধর্ষন একটি বৈধ কাজ।ইউরুপের প্রায় সব দেশেই বর্তমানে ধর্ষণের হার বেশি।তবে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও এই দিক দিয়ে কম নয়। ভারতে এখন প্রত্যেক ১৬ সেকেন্ডে ১ জন নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে।সেখানে বাবা- মেয়েকে, ছেলে- মাকে,দাদা- নাতনিকে, ভাই -বোনকে, আংকেল -ভাইজিকে ধর্ষণ করছে।এমনকি বাবা এবং ছেলে মিলে একজনকে ধর্ষণ করার মতো ঘৃণ্য কাজ সেখানে হচ্ছে।
এখন এই ধর্ষণ থেকে দেশ ও জাতিকে কিভাবে রক্ষা করা যায়, এ নিয়ে আমার ছোট্ট জ্ঞান যা বলে তা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।আর এ নিয়ে আপনার কি মনে হয় তা কমেন্ট বক্সে জানাতে বুলবেন না কিন্তু।
যা যা সমাজ থেকে ধর্ষণ দূর করতে পারে-
• আইনের প্রয়োগ
• ধর্মীয় শিক্ষা
• পারিবারিক সুশিক্ষা
• ধর্ষকের মৃত্যুদন্ড
• ধর্ষকের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলা
• সামাজিক দায়বদ্ধতা
আইনের প্রয়োগ:
আইন হচ্ছে একটি দেশের শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রধান হাতিয়ার। যদি সঠিক আইনের প্রয়োগ হয় তাহলে যেকোনো আপরাধ থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করা যায়। যদি সঠিক আইনের প্রয়োগ করা যায় তাহলে আমাদের দেশে ধর্ষণের হার অনেকটা কমবে বলে আশা করা যায়। কিন্তু আমাদের দেশের আইন বর্তমানে তা করতে অক্ষমতা প্রকাশ করছে। আপনি বলতে পারেন, কিভাবে অক্ষমতা প্রকাশ করছে?তাহলে জেনে নিন বাস্তব একটি ঘটনার কথা। একজন বিচারক মাসে বেতন পান সর্বোচ্চ ১ লক্ষ -১.৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু দেখা গেছে তার সন্তানের লেখাপড়া এবং পরিবারের খরচ বাবদ মাসে তার প্রয়োজন ৫ লক্ষ টাকার। আবার দেখা যায় এই খরচ পুষিয়ে তিনি অনেক জমি ক্রয় করে সেখানে বাসা তৈরি করছেন। এই উদাহরন দেখে আপনারা বুজতেই পারছেন, কি ব্যাপার। তিনি এত টাকা কোথা থেকে পান? এ প্রশ্ন আমি খুব একজন সাধারন মানুষকে করেছিলাম। সেই সাধারন মানুষটি বলেছিলো, "কোথা থেকে পাবে আবার,দুর্নীতি ছাড়া কি এদের ভাত আছে"। তাহলে আপনিই ভেবে দেখুন আমাদের দেশের আইন এখন কোথায় পৌছেছে। এদের মতো মানুষের জন্য একটি দেশের আইনের উপর বদনাম করা হচ্ছে। আবার এদের মতো মানুষের জন্য নানা অপরাধী এমনকি ধর্ষকরাও আইনের হাত থেকে রেহাই পেয়ে যাচ্ছে। ফলে সমাজের মধ্যে জঙ্গিবাদ,সন্ত্রাসবাদ,দূর্নীতি,ধর্ষণ ইত্যাদির মতো অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সমস্যার সমাধান করতে হলে দূর্নীতিবাজ রাঘব বোয়ালদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আসন থেকে বিতারিত করে শাস্তি দিতে হবে। তার সাথে সৎ ব্যক্তিকে আইনের আসনে বসাতে হবে। এতে দেশের মানুষের শান্তি মিলবে।
ধর্মীয় শিক্ষা:
শুধু ইসলাম ধর্মে নয়,সব ধর্মেই ধর্ষণ একটি অবৈধ কাজ। কোন মানুষ যদি তার ধর্মের প্রতি বিশ্বাসী থাকে তাহলে তার দ্বারা ধর্ষন তো দূরের কথা, সে কোন প্রকার অপরাধের সাথে যুক্ত হতে ভয় পাবে। তাই এখন থেকে সবাইকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।আর প্রত্যেক অবিভাবকের দায়িত্ব হচ্ছে তার সন্তানকে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করা।তাহলেই সমাজ ও দেশ থেকে ধর্ষণ সহ সকল প্রকার অপরাধ দূর করা সম্ভব।
পারিবারিক শিক্ষা:
একটা শিশুর প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হচ্ছে পরিবার।সে যদি পরিবার থেকে ভালো কিছু শিখে, তাহলে সে ভালো কাজ ছাড়া কোনদিন খারাপ কাজ করতে পারবে না। কোন সন্তান বড় হয়ে কেমন হবে সেটা নির্ভর করে তার বাবা -মা এবং পরিবারের দেয়া শিক্ষার উপর। আবার কোন পরিবারের বাবা-মা যদি সন্তানদের ভালো শিক্ষা দেয় না বরং তারা নিজেরাও খারাপ কাজ করে, তাহলে সেই সন্তান যে বড় হয়ে ভালো কাজ করবে তার কোন গ্যারান্টি নেই। তাই বলছি, দেশ এবং সমাজ থেকে যদি ধর্ষনের মতো অপরাধ দূর করতে হয় তাহলে মাস্ট বি পারিবারিক শিক্ষার প্রয়োজন।তাই এখন থেকে প্রত্যেক সন্তানকে পারিবারিক সুশিক্ষা দিতে হবে।
ধর্ষকের মৃত্যুদন্ড:
আমরা সবাই জানি সৌদি আরবে ধর্ষনের হার অনেক কম। এমনকি নেই বললেও চলে। সেখানে একটি নিয়ম আছে। আর সেটি হচ্ছে-শুক্রবারে জুমার নামাজের পর সবার সামনে ধর্ষকের মাথা কেটে মেরে ফেলা।এই ঘটনা যারা দেখে তারা কোনদিন ধর্ষণ করা তো দূরের কথা চিন্তা করতে ভয় পাবে। আবার আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ চীনেও এমন নিয়ম। সেখানেও ধর্ষককে শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।এজন্য এই দুই দেশের মানুষ ধর্ষণ করতে ভয় পায়। এবং উভয় দেশেই ধর্ষণের হার অনেক কম। এইদিক দিয়ে চিন্তা করলে, আমাদের দেশেও এই সিস্টেম চালু করা যেতে পারে। তাহলে ধর্ষণ বোধহয় বন্ধ হবে।আপনার কি মনে হয়?কমেন্ট বক্সে জানিয়ে যেতে পারেন।
ধর্ষকের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলা :
আপনি কি বলতে পারেন, কানাডায় ধর্ষণের শাস্তি কি? কিছুটা হলেও হয়তো আচঁ করতে পারছেন। হ্যাঁ, আপনি যা ভাবছেন তাই।কানাডায় ধর্ষনের শাস্তি হিসাবে ধর্ষকের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়। এজন্যই কানাডায় ধর্ষণের হার সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম।এই শাস্তি যদি আমাদের দেশেও চালু করা হতো তাহলে বোধহয় আমাদের দেশে ধর্ষণ হতো না। কারন গোপনাঙ্গ ব্যতীত কোন মানুষ থাকতে পারবে না। যতদিন বেচে থাকবে কষ্ট পেয়ে বেচে থাকবে।যদি এমন হতো তাহলে মানুষ ধর্ষণ করা নিয়ে ভাবতেও পারতো না। আপনি এ নিয়ে কি মনে করেন? কমেন্ট বক্সে জানিয়ে যেতে ভুলবেন না কিন্তু।
সামাজিক দায়বদ্ধতা :
মানুষ সামাজিক জীব।একজন মানুষ তার আশপাশের সমাজেই বেড়ে উটে। আমরা সবাই একটা প্রবাদের সাথে পরিচিত। সেটা হচ্চে,"সঙ্গ দোষে,লোহা জ্বলে ভাসে"।অর্থাৎ কোন মানুষের যদি সঙ্গ ভালো হয় তাহলে সে ভালো হবে,আর যদি সঙ্গ খারাপ হয় তবে সে খারাপ হবে।আর ভালো সঙ্গ বেঁচে নেয়া হচ্ছে প্রত্যেক মানুষের জীবনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আবার সঙ্গ এর কারনে অনেক মানুষ অপরাধের কাজে লিপ্ত হয়।আবার প্রত্যেক মানুষের জীবনে মা-বোন নামে কিছু মানুষ থাকে। আজ যদি কেউ অন্য একজনকে ধর্ষণ করে,কাল দেখা যেতে পারে অন্য একজন তার বোনকে ধর্ষণ করেছে। এই নিয়ে যদি মানুষের সঠিক চিন্তা এবং ধারনা থাকে তাহলে ধর্ষণ একদিন আমাদের সমাজ থেকে হাত ঘুটিয়ে বিদায় নিবে।
আজ এ পর্যন্তই। আশা করি সবাই বুজতে পেরেছেন। যদি সবাই বুজতে পারেন তাহলে নিজে ধর্ষণ থেকে বিরত থাকুন,অন্যকেও ধর্ষণ থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করুন।আসুন সবে মিলে শপথ করি,"ধর্ষণ করব না,ধর্ষণ করতে দেব না ", আমরাই তো এই দেশের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আমাদেরই এই দেশ থেকে ধর্ষণ এবং সকল প্রকার অপরাধ দূর করতে হবে,এই ভেবে এখনই কাজ করা শুরু করতে হবে।নইলে পরবর্তীতে কাজ করে কোন লাভ হবে না। কথায় আছে," গরু মারা যাওয়ার পর ঘাস দিয়ে কি লাভ "। এখনি আমাদের প্রকৃত সময় সমাজ থেকে অপরাধ দূর করার।
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে এতক্ষন যাবৎ আমার এই লেখাগুলো মন দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি।দেখা হবে এরকম সামাজিক সমস্যা নিয়ে অন্য আরেকটি পোস্টে।
ধন্যাবাদ সবাইকে।
• আইনের প্রয়োগ
• ধর্মীয় শিক্ষা
• পারিবারিক সুশিক্ষা
• ধর্ষকের মৃত্যুদন্ড
• ধর্ষকের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলা
• সামাজিক দায়বদ্ধতা
আইনের প্রয়োগ:
আইন হচ্ছে একটি দেশের শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রধান হাতিয়ার। যদি সঠিক আইনের প্রয়োগ হয় তাহলে যেকোনো আপরাধ থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করা যায়। যদি সঠিক আইনের প্রয়োগ করা যায় তাহলে আমাদের দেশে ধর্ষণের হার অনেকটা কমবে বলে আশা করা যায়। কিন্তু আমাদের দেশের আইন বর্তমানে তা করতে অক্ষমতা প্রকাশ করছে। আপনি বলতে পারেন, কিভাবে অক্ষমতা প্রকাশ করছে?তাহলে জেনে নিন বাস্তব একটি ঘটনার কথা। একজন বিচারক মাসে বেতন পান সর্বোচ্চ ১ লক্ষ -১.৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু দেখা গেছে তার সন্তানের লেখাপড়া এবং পরিবারের খরচ বাবদ মাসে তার প্রয়োজন ৫ লক্ষ টাকার। আবার দেখা যায় এই খরচ পুষিয়ে তিনি অনেক জমি ক্রয় করে সেখানে বাসা তৈরি করছেন। এই উদাহরন দেখে আপনারা বুজতেই পারছেন, কি ব্যাপার। তিনি এত টাকা কোথা থেকে পান? এ প্রশ্ন আমি খুব একজন সাধারন মানুষকে করেছিলাম। সেই সাধারন মানুষটি বলেছিলো, "কোথা থেকে পাবে আবার,দুর্নীতি ছাড়া কি এদের ভাত আছে"। তাহলে আপনিই ভেবে দেখুন আমাদের দেশের আইন এখন কোথায় পৌছেছে। এদের মতো মানুষের জন্য একটি দেশের আইনের উপর বদনাম করা হচ্ছে। আবার এদের মতো মানুষের জন্য নানা অপরাধী এমনকি ধর্ষকরাও আইনের হাত থেকে রেহাই পেয়ে যাচ্ছে। ফলে সমাজের মধ্যে জঙ্গিবাদ,সন্ত্রাসবাদ,দূর্নীতি,ধর্ষণ ইত্যাদির মতো অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সমস্যার সমাধান করতে হলে দূর্নীতিবাজ রাঘব বোয়ালদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আসন থেকে বিতারিত করে শাস্তি দিতে হবে। তার সাথে সৎ ব্যক্তিকে আইনের আসনে বসাতে হবে। এতে দেশের মানুষের শান্তি মিলবে।
ধর্মীয় শিক্ষা:
শুধু ইসলাম ধর্মে নয়,সব ধর্মেই ধর্ষণ একটি অবৈধ কাজ। কোন মানুষ যদি তার ধর্মের প্রতি বিশ্বাসী থাকে তাহলে তার দ্বারা ধর্ষন তো দূরের কথা, সে কোন প্রকার অপরাধের সাথে যুক্ত হতে ভয় পাবে। তাই এখন থেকে সবাইকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।আর প্রত্যেক অবিভাবকের দায়িত্ব হচ্ছে তার সন্তানকে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করা।তাহলেই সমাজ ও দেশ থেকে ধর্ষণ সহ সকল প্রকার অপরাধ দূর করা সম্ভব।
পারিবারিক শিক্ষা:
একটা শিশুর প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হচ্ছে পরিবার।সে যদি পরিবার থেকে ভালো কিছু শিখে, তাহলে সে ভালো কাজ ছাড়া কোনদিন খারাপ কাজ করতে পারবে না। কোন সন্তান বড় হয়ে কেমন হবে সেটা নির্ভর করে তার বাবা -মা এবং পরিবারের দেয়া শিক্ষার উপর। আবার কোন পরিবারের বাবা-মা যদি সন্তানদের ভালো শিক্ষা দেয় না বরং তারা নিজেরাও খারাপ কাজ করে, তাহলে সেই সন্তান যে বড় হয়ে ভালো কাজ করবে তার কোন গ্যারান্টি নেই। তাই বলছি, দেশ এবং সমাজ থেকে যদি ধর্ষনের মতো অপরাধ দূর করতে হয় তাহলে মাস্ট বি পারিবারিক শিক্ষার প্রয়োজন।তাই এখন থেকে প্রত্যেক সন্তানকে পারিবারিক সুশিক্ষা দিতে হবে।
ধর্ষকের মৃত্যুদন্ড:
আমরা সবাই জানি সৌদি আরবে ধর্ষনের হার অনেক কম। এমনকি নেই বললেও চলে। সেখানে একটি নিয়ম আছে। আর সেটি হচ্ছে-শুক্রবারে জুমার নামাজের পর সবার সামনে ধর্ষকের মাথা কেটে মেরে ফেলা।এই ঘটনা যারা দেখে তারা কোনদিন ধর্ষণ করা তো দূরের কথা চিন্তা করতে ভয় পাবে। আবার আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ চীনেও এমন নিয়ম। সেখানেও ধর্ষককে শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।এজন্য এই দুই দেশের মানুষ ধর্ষণ করতে ভয় পায়। এবং উভয় দেশেই ধর্ষণের হার অনেক কম। এইদিক দিয়ে চিন্তা করলে, আমাদের দেশেও এই সিস্টেম চালু করা যেতে পারে। তাহলে ধর্ষণ বোধহয় বন্ধ হবে।আপনার কি মনে হয়?কমেন্ট বক্সে জানিয়ে যেতে পারেন।
ধর্ষকের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলা :
আপনি কি বলতে পারেন, কানাডায় ধর্ষণের শাস্তি কি? কিছুটা হলেও হয়তো আচঁ করতে পারছেন। হ্যাঁ, আপনি যা ভাবছেন তাই।কানাডায় ধর্ষনের শাস্তি হিসাবে ধর্ষকের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়। এজন্যই কানাডায় ধর্ষণের হার সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম।এই শাস্তি যদি আমাদের দেশেও চালু করা হতো তাহলে বোধহয় আমাদের দেশে ধর্ষণ হতো না। কারন গোপনাঙ্গ ব্যতীত কোন মানুষ থাকতে পারবে না। যতদিন বেচে থাকবে কষ্ট পেয়ে বেচে থাকবে।যদি এমন হতো তাহলে মানুষ ধর্ষণ করা নিয়ে ভাবতেও পারতো না। আপনি এ নিয়ে কি মনে করেন? কমেন্ট বক্সে জানিয়ে যেতে ভুলবেন না কিন্তু।
সামাজিক দায়বদ্ধতা :
মানুষ সামাজিক জীব।একজন মানুষ তার আশপাশের সমাজেই বেড়ে উটে। আমরা সবাই একটা প্রবাদের সাথে পরিচিত। সেটা হচ্চে,"সঙ্গ দোষে,লোহা জ্বলে ভাসে"।অর্থাৎ কোন মানুষের যদি সঙ্গ ভালো হয় তাহলে সে ভালো হবে,আর যদি সঙ্গ খারাপ হয় তবে সে খারাপ হবে।আর ভালো সঙ্গ বেঁচে নেয়া হচ্ছে প্রত্যেক মানুষের জীবনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আবার সঙ্গ এর কারনে অনেক মানুষ অপরাধের কাজে লিপ্ত হয়।আবার প্রত্যেক মানুষের জীবনে মা-বোন নামে কিছু মানুষ থাকে। আজ যদি কেউ অন্য একজনকে ধর্ষণ করে,কাল দেখা যেতে পারে অন্য একজন তার বোনকে ধর্ষণ করেছে। এই নিয়ে যদি মানুষের সঠিক চিন্তা এবং ধারনা থাকে তাহলে ধর্ষণ একদিন আমাদের সমাজ থেকে হাত ঘুটিয়ে বিদায় নিবে।
আজ এ পর্যন্তই। আশা করি সবাই বুজতে পেরেছেন। যদি সবাই বুজতে পারেন তাহলে নিজে ধর্ষণ থেকে বিরত থাকুন,অন্যকেও ধর্ষণ থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করুন।আসুন সবে মিলে শপথ করি,"ধর্ষণ করব না,ধর্ষণ করতে দেব না ", আমরাই তো এই দেশের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আমাদেরই এই দেশ থেকে ধর্ষণ এবং সকল প্রকার অপরাধ দূর করতে হবে,এই ভেবে এখনই কাজ করা শুরু করতে হবে।নইলে পরবর্তীতে কাজ করে কোন লাভ হবে না। কথায় আছে," গরু মারা যাওয়ার পর ঘাস দিয়ে কি লাভ "। এখনি আমাদের প্রকৃত সময় সমাজ থেকে অপরাধ দূর করার।
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে এতক্ষন যাবৎ আমার এই লেখাগুলো মন দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি।দেখা হবে এরকম সামাজিক সমস্যা নিয়ে অন্য আরেকটি পোস্টে।
ধন্যাবাদ সবাইকে।
8 Comments
গোপনাঙ্গ কাটা হোক
ReplyDeleteThanks for your comment.
Deleteদরকারি পোষ্ট
ReplyDeleteগুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট ভাই, মিজান
ReplyDeletethank you, bro.
DeleteHow nice the post is!
ReplyDeletekora ochit
ReplyDeleteNice post man!
ReplyDeleteThanks for your support.