জেনে নিন সফলতার চাবিকাঠি [key of success]

যেনে নিন সফলতার চাবিকাঠি [key of success]

insrtuctiv-জেনে নিন সফলতার চাবিকাঠি [key of success]
"উদ্দেশ্যহীন রাস্তায় হাঠলে যেমন গন্তব্যে পৌছা যায় না তেমনি ভ্রান্ত পরিকল্পনা নিয়ে সফল হওয়া যায় না।" আস্সালামুআলাইকুম আমি মালেক বরাবরের মতই আজকে আরেকটি নতুন মোটিভেশনাল পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। প্রথমেই বলে রাখি পরিকল্পনা কী? পরিকল্পনা হচ্চে এমন একটি ধারা,যে ধারা অনুযায়ী কাজ করে কোন স্বার্থ হাসিল করা হয়। যদি আপনি গণিতের ধারা সম্পর্কে যানেন তাহলে নিচের উদাহারনটি বুঝবেন। উদা:1+5+9+13+17+21+25+29+33 যদি বলে ধারাটির সর্বশেষ পদ ৩০ তম পদ এবং তা নির্নয় করতে আর আপনি এভাবে করেন a=1 d=5 n=30 এবং a+(n-1)d =1+(30-1)5 =146 (Ans) আর আপনি বলে ফেল্লেন বাহ আমি সঠিক উওর দিয়ে দিয়েছি। আর দেখলেন যে অন্যরা উওর দিয়েছে 117। আর সমাজ 117 কেই মেনে নিল । আপনি মনে মনে বলছেন " আমার ধারা মোতাবেক কাজ করা ত ভুল হলনা কিন্তু পরিনতি কেন ভুল হল? " তাহলে এই প্রশ্নের উওরের জন্য উপররের d এর মানের দিকে তাকান আর দেখুন কোন ভুল আছে কি না? অবশ্যই আছে d = 4 হল সঠিক উওর। একটু লক্ষ্য করুন গণিতের ধারা সঠিক ভাবে সমাধান করতে যেমন পড়তে হবে শিক্ষিত হতে হবে তদ্রুপ জীবনের ধারা সমাধানের জন্য শিক্ষাই একমাত্র উপায়। আমার এই পোস্টটি যদিও মোটিভেশনের অন্তর্ভুক্ত কিন্তু আমি মনে করি মোটিভেশন সব ভোয়া। যারা শুধু শুধু দিনে কয়েক ঘন্টা পড়ার জন্য একটা করে মোটিভেশনাল ভিডিও দেখেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি এখনি এসব বাদ্দেন আর পড়তে বসুন কারন যেহেতু আপনি সফল হতে চান সেহেতু আপনাকে পড়তে হবে। আর যদি অন্য কোন উপায় আপনার মাথায় ঘোরপাক খায় তাহলে সাচ্ছন্দে কমেন্ট সেকশনে জানিয়ে দিতে পারেন। আমার একটি পার্সোনাল বাক্য আছে যা দিয়ে আমি নিজেকে মোটিভেট করি এবং নিজের কাজের প্রতি নিজেকে আন্তরিক করে তুলি। আমি প্রতিবার পড়ার টেবিলে বসার আগে এই বাক্যটুকু বলে তারপর পড়তে বসি ।আর বিশ্বাস করেন এটা আমাকে পড়ালেখায় মনোযোগী রাখতে ও জীবনের ধারা মোতাবেক চলতে অনেক সাহায্য করে। আমার সেই বাক্যটুকু হল " যেহেতু কিছু করতেই হবে তাই আমাকে পড়তেই হবে " অনেকের আমার এই কথাগুলো শুনে হয়ত হাসি পাচ্ছে।কিন্তু এগুলো আমাকে অনেক সাহায্য করে। তাই জীবনের ধারা সমাধান করতে প্রথমত নিজের একটি নীতি বাক্য খুজে নাও যেটা তুমাকে অনেক মোটিভেট করে। ধরি নীতি বাক্য, =a সমস্যা চিহ্নিত করা শুরু হয়ে গেছে। সবচেয়ে বড় সমস্যার দিকে এগুনো যাক আর তা হচ্ছে পড়তে মন না বসা। একটা গল্প বলি, একদা একজন মোটিভেশনাল স্পিকারকে তরুন সমাজ প্রশ্ন করল যে," পড়তে মন বসে না।এর জন্য আমরা কী করব? " মোটিভেশনাল স্পিকার তাদের জিজ্ঞাসা করলেন,"ওসব পড়া টরা বাদ দাও ! আর বল কারা কারা ভালো কোন চাকরি করতে চাও ? " তরুন সমাজ বলল ," আমরা সবাই চাই। " তখন মোটিভেশনাল স্পিকার তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, " একটি মেয়ে মা হতে চায় কিন্তু সে বিয়ে করতে চায় না।বৈধ উপায়ে কী মা হওয়া সম্ভব? " সবাই বলল," অবশ্যই না।" তারপর মোটিভেশনাল স্পিকার বললেন," একজন মানুষ ভালো চাকরি করতে চায় কিন্তু পড়তে চায়না সেই মানুষের পক্ষে একইভাবে বৈধ উপায়ে চাকরি করাও সম্ভব না " তিনি দেখিয়ে দিলেন আমরা কেন পড়ব? কিন্তু এটা বলেননি যে ,পড়তে মন না চাইলে আমরা কী করব? উপরের গল্পে মনোঝোগ দিলে লক্ষ করবেন যে , মা/বাবা হতে চাইলে বিয়ে তোমাকে করতেই হবে।আর যদি বিয়ে করতে মন না চায় তাহলে মন লাগান।আর যদি না পাড়েন তাহলে মা/বাবা হওয়ার সপ্ন দেখা বন্ধ করে দিন। তদ্রুপ ভালো কিছু করতে হলে পড়তে তোমাকে হবেই । আর যদি পড়তে মন না চায় তাহলে মন লাগান ।তারপরও যদি না পাড়েন তাহলে ভালো কিছু করার সপ্ন দেখা বন্ধ করে দিন।( As Simple As That... ) তাই আজই পড়া শুরু করে দিন। আর হ্যা তুমি কত ঘন্টা মনোঝোগ সহকারে পড়তে পেরেছ সেই সময়কে ধরি n. এখন পালা ধারার d কে খুজে বের করা। ধরুনত ,আপনি কোন এক বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য পড়ালেখা করছেন কিন্তু হঠাৎ কোন এক স্থরে এসে আপনাকে এমন কোন কাজ করতে বলা হয় যে কাজ আপনার কাছে মনে হয় সঠিক কিন্তু করতে গেলে অনেকেই অনেক কথা বলবে তাহলে আপনি কী করবেন???? এক - লোকে মন্দ বলবে তাই কাজটি করবেননা। দুই- কাজটি করবেন কারন আপনার কাছে কাজটি সঠিক মনে হচ্ছে । আমি জানি আপনারা সবাই বলবেন দুই আমি নাম্বারটা করব। কিন্তু বাস্তবতার দিক দিয়ে বিবেচনা করলে দেখা যায় ৯৫% প্রথমটা বেছে নেয়। তার কারন হল মানুষ অন্যকে নিয়ে বেশী চিন্তা করে। বাইরে বের হবার পূর্বে মহিলাদের/পূরুষদের সাজ সজ্জার কথা আমরা সবাই জানি। এমন মানুষ যারা একাধারে বসে নিজের সাজ সজ্জা করতে থাকে । কেন তারা এমন করে ???তারা কি কখনও আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখে সুন্দর মন্তব্য করে??? কখনই না তারা সাজ গোজ করে কারণ তারা চায় লোকে যাতে তাদের সুন্দর বলে বা তাদের দেখে সুন্দর মন্তব্য করে।আমিও ঠিক এরকমটাই চাইতাম যাতে লোকে আমাকে বলে ,“ নায়ক নায়ক ভাব আর নাইকার অভাব ”। আর এই অভ্যাস যাদের আছে তাদের পক্ষ্যে কখনও এগুনো সম্ভব নয়। তাই বলি ৯৫% লোকের দলে নিজেকে না রেখে যদি পাছে লোকে কিছু বলে এই অভ্যাস ত্যাগ করতে পারেন তাহলে ত আর কেল্লাফতে। নিজের কাছে যেই কাজটি সঠিক মনে হয় সেই কাজকে সাচ্ছন্দে করতে পারাটাই এক প্রকার আর্ট। আর এমন আর্ট সবার মধ্যে থাকেনা যার কারনে সবাই সফলও হতে পারেনা। নৈতিক কাজ করতে গেলে লোকলজ্জা যাদের বাধা হয় না তারাই সব বাধা পেরিয়ে সফলতার শীর্ষে আরোহন করতে পারে। তাই লোকলজ্জা পরিহার এই উপাদানকে ধরি d । তাহলে এই সকল উপাদান নিয়ে কাজ করা শুরু করে দিলে সাফল্য তুমার হাতের কাছে এসে নিজে নিজেই ধরা দিবে। কারন a + (n-1) × d = solution নীতি বাক্য + ( পড়ায় মনোঝোগ - 1 ) × লোকলজ্জা পরিহার = সফলতা
তাই আজই নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগান আর নিজের জীবনের ধারা সমাধান করা শুরু করে দিন।
কারন আপনার ভেতরও রয়েছে সেই সব প্রতিভা যেগুলোকে কাজে লাগিয়ে টমাস আলভা এডিসন হয়েছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে সৃজনশীল বিজ্ঞানী যেই প্রতিভা কাজে লাগিয়ে স্টিব জবস্ হয়েছিলেন সর্বপ্রথম সফল পারসনাল কম্পিউটার আবিষ্কারকর্তা।
আরও অনেকেই আছেন যারা তাদের ভেতরের লোকিয়ে প্রতিভাকে কাজে লাকিয়ে হয়েছিলেন জগৎবিখ্যাত ।
তাই বলি সময় থাকতে ধারা সমাধান করা শুরু করে দিন আর কিছুই করতে হবেনা।
আজ এ পর্যন্তই ,বিদায় নিচ্ছি কিছু ভালো কোন কিছু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে।
আল্লাহাফেজ
আর এরকম আরোও মোটিভেশনাল পোস্ট পেতে সাথে থাকুন Instructiveএর সাথে।

Post a Comment

0 Comments